স্পোর্টস ডেস্ক: প্রিয় তারকাকে এক নজর দেখতে কত কিছুই না করে ভক্ত-সমর্থকরা। অনেক কাঠখড় পোড়ানোর পর যখন তারকার মুখোমুখি হন ভক্ত সে সময়ের অনুভূতি কেমন তা এখন ভালোই বুঝছেন মেহেদী জামান সনেট।
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঢাকায় আসছেন খবরটি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই তাকে দেখতে যেন তর সইছিল না বাংলাদেশি এই ভক্তের। মার্টিনেজের এশিয়া ট্যুরের এজেন্ট স্পোর্টস প্রমোটর শতদ্রু দত্ত’র সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলেন পেশায় এই ব্যবসায়ী।
তবে মার্টিনেজের ঢাকা সফরের স্পন্সর ফান্ডেড নেক্সটের কোম্পানি নেক্সট ভেঞ্চার আগেই জানিয়েছিল, সাধারণ ক্রীড়ামোদীরা তাকে দেখার সুযোগ সেভাবে পাবেন না। নেক্সট ভেঞ্চারের সিইও সৈয়দ আব্দুল্লাহ জায়েদ এবং চীফ স্ট্র্যাটেজিক অফিসার সৈয়দ আব্দুল্লাহ গালিব এক বিবৃতিতে জানান, ‘আমাদের ইচ্ছে ছিল মার্টিনেজকে নিয়ে একটি পাবলিক অনুষ্ঠান করার। ঈদের ছুটি এবং তিনি খুবই কম সময় ঢাকায় থাকবেন ফলে সেই অনুষ্ঠান সম্ভব হচ্ছে না।’ জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটির অফিসে স্টাফরা কিছু সময় কাটাবে তার সঙ্গে। এছাড়া আমন্ত্রিত কয়েকজন অতিথি থাকবেন।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের সামনে চীনের দুর্ভেদ্য মহাপ্রাচীর হয়ে থাকা মার্টিনেজের বাংলাদেশে আসা নিয়ে উচ্ছ্বাসের কমতি ছিল না এ দেশের আকাশী-সাদা সমর্থকদের। তবে তাদের হতাশই করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান। অবশ্য ভাগ্যের ফেরে মার্টিনেজের দেখা পেয়েছেন মেহেদী জামান সনেট।
বাংলাদেশ সময় আজ ভোরে ঢাকায় নেমে হোটেল ওয়েস্টিনে উঠেছেন মার্টিনেজ। বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন সনেট। আর তাই অভিজাত এই হোটেলটিতে রুম বুক করে রেখেছিলেন। কিন্তু তিনি কি জানতেন যার দেখা পেতে এত মরিয়া চেষ্টা, পাশাপাশি রুমেই থাকবেন তারা! হ্যাঁ, হোটেল ওয়েস্টিনে পাশাপাশি রুমেই থাকা হয়েছে মার্টিনেজ ও সনেটের। আর সে কারণেই প্রিয় তারকাকে কাছ থেকে দেখার এবং মুহূর্তটাকে ফ্রেমবন্দি করে রাখার সৌভাগ্য হয়েছে এই ভক্তের।
নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, অভাবনীয় মুহূর্ত আমার জন্য। মার্টিনেজের সঙ্গে সাক্ষাতের অনেক চেষ্টা করেছি। কলকাতার এজেন্টের সঙ্গেও দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ রেখেছি। এখানে হোটেল বুক করে রেখেছি। কিন্তু এভাবে দেখা পেয়ে যাব এটা অবিশ্বাস্য।
মার্টিনেজকে নিয়ে তিনি বলেন, খুবই জেন্টলম্যান। ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপে তার দারুণ সব সেভের কারণেই তাকে মানুষ মনে রাখবে অনেকদিন।